আধুনিক জ্ঞান ও প্রযুক্তিদক্ষ নতুন প্রজন্ম হবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের মূল কারিগর —-শিক্ষামন্ত্রী

আধুনিক জ্ঞান ও প্রযুক্তিদক্ষ নতুন প্রজন্ম হবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের মূল কারিগর। এলক্ষ্যে কারিগরি শিক্ষাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। আমাদের নতুন প্রজন্মকে বিশ্বমানের দক্ষতায় গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় আইডিইবি মিলনায়তনে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর আয়োজিত চীন সরকারের স্কলারশিপপ্রাপ্ত কারিগরি ক্ষেত্রের ৩৪৯ জন শিক্ষার্থীর যাত্রাপূর্ব ওরিয়েন্টেশন কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এসব কথা বলেন।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষাসচিব মোঃ আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত সচিব ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অশোক কুমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, আইডিইবি’র সভাপতি এ কে এম এ হামিদ প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী বলেন চীন, জাপান, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, কোরিয়া, সিংগাপুরসহ প্রত্যেক উন্নত দেশের দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে তাদের প্রত্যেকের কারিগরি শিক্ষার্থীর এনরোলমেন্ট হার ৬০এর অধিক। আমাদের দেশের কারিগরি শিক্ষা তুলনামূলক পিছিয়ে ছিল। ২০০৯এর পূর্বে কারিগরি শিক্ষার এনরোলমেন্ট ছিল ১এর নিচে। সরকারের নানামুখী উদ্যোগ ও কার্যক্রমের ফলে বর্তমানে তা ১৪-এ উন্নীত হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার আগামী ২০২০ সালের মধ্যে এ হার ২০ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০-এ উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছে। এজন্য নতুন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। নতুন ২৩টি জেলায় একটি করে সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন, প্রতিটি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ স্থাপন করা হবে। ঢেলে সাজানো হচ্ছে কারিগরি শিক্ষার কারিকুলাম-সিলেবাস, নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসায় কারিগরি শাখা সংযোজন করা হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে এই প্রথম বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপ প্রদান করে বিদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নের জন্য পাঠানো হচ্ছে। তিনি চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এ ধারা আরো সম্প্রসারিত করা হবে। এই শিক্ষার্থীরা এক একজন দক্ষ জনবল হিসেবে জাতীয় উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এই উদ্যোগ কারিগরি শিক্ষা খাতে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে মন্ত্রী মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সিঙ্গাপুর থেকে ৪২০ জন এবং পরে আরো ১ হাজার ১৫০ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। চীনের গুয়াংজুতে ৫৮১ জন শিক্ষকের পর্যায়ক্রমিক প্রশিক্ষণ চলছে। এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
চীন সরকারের ৩০ জন বাছাইকারক নিজস্ব পদ্ধতিতে বাছাই করে মোট ৩৪৯ জন শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপ প্রদান করেছে। এর মধ্যে ৩১৮ ছাত্র এবং ৩১ জন ছাত্রী। এরা চীনের ১০টি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বে।

জাতীয়