সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে জ্ঞানের প্রয়োগ ঘটাতে হবে — শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্জিত জ্ঞান সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। কর্মক্ষেত্রে ও সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে জ্ঞান ও প্রজ্ঞার প্রয়োগ ঘটাতে হবে। দেশপ্রেম, সততা আর নিষ্ঠার মাধ্যমে তা করতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আজ ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইউনিভার্সিটি অভ্ ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ (ইউডা)-এর ৬ষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় একথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জ্ঞানচর্চা, গবেষণা ও নতুন জ্ঞান অনুসন্ধান করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ এবং গুণগতমান বৃদ্ধির জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এজন্য বিষয় বাছাই, শিক্ষাক্রম উন্নয়ন, শিক্ষাদানের পদ্ধতি অব্যাহতভাবে উন্নত ও যুগোপযোগী করতে হবে। তিনি বলেন, উচ্চ শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো এমন মানবসম্পদ সৃষ্টি যারা আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির চেতনায় লালিত হয়ে জাতীয় সমস্যা সমাধানে অবদান রাখতে সক্ষম হবে। যাদের চিন্তায় থাকবে সৃষ্টিশীলতা, উদার নৈতিকতা, মানবপ্রেম ও বিজ্ঞানমনস্কতা। উচ্চশিক্ষা যাতে কেবল সীমাবদ্ধ আনুষ্ঠানিক বিদ্যায় পরিণত না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের শিক্ষার মূল লক্ষ্য-নতুন প্রজন্মকে আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে প্রস্তুত করা। প্রচলিত গতানুগতিক শিক্ষায় তা সম্ভব নয়। যুগের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ বিশ্বমানের শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে দক্ষ, নৈতিক মূল্যবোধ ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ এক পরিপূর্ণ মানুষ তৈরি করা আমাদের প্রধান লক্ষ্য। তারা আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলবে এবং ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবে।
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এমাজউদ্দিন আহমদ। অন্যান্যের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান, ইউডা-এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম শরীফ, ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক মুজিব খান এবং উপ-উপাচার্য ড. আহমদ উল্লাহ মিয়া বক্তব্য রাখেন।
সমাবর্তনে ¯œাতক পর্যায়ে ৮৫৯ জন এবং ¯œাতকোত্তর পর্যায়ে ৭৭০ জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য একজন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক, ৬ জনকে উপাচার্য এওয়ার্ড এবং ১৪ জনকে ডিনস্ এওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

জাতীয়