সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি; সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১১ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসন, জিআরপি থানা পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার ভোরে সিরাজগঞ্জ জেলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের মর্গ থেকে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেন, সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রোকনুজ্জামান ও সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশন জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন মজুমদার।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেন জানান, নিহতের স্বজনদের কোনো অভিযোগ না থাকার বিষয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে মুচলেকা দেওয়ায় কোনো মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়নি।
সোমবার সন্ধ্যায় বিয়ের মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় নিহতরা হলেন-সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামের মো. আলতাব হোসেনের ছেলে বর রাজন শেখ (৩৫), তার শিশু ভাগিনা কান্দাপাড়া উত্তরপাড়ার মো. শামিম হোসেনের ছেলে আলিফ হোসেন (১১), উল্লাপাড়া চরঘাটিনা গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুল গফুরের মেয়ে কনে সুমাইয়া খাতুন ((২১), তার আত্বীয় একই গ্রামের মো. আশরাফ আলীর স্ত্রী মমতা খাতুন (৩৫), জেলা সদরের সর্দারপাড়া গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম শরিফ (৩২), সয়ধানগড়া মধ্যপাড়ার সুরত আলীর ছেলে আহাদ আলী (১৯), রামগাঁতী গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে আব্দুস সামাদ (৪৫) ও তার ছেলে শাকিল আহম্মেদ (১৯), সয়ধানগাড়া (মিলন মোড়) মহল্লার মৃত একরামুল হকের ছেলে মাইক্রোবাস চালক নুরে আলম স্বাধীন (৪০), রায়গঞ্জের পাঙ্গাসী ইউনিয়নের কৃষ্ণদিয়া গ্রামের আলম সেখের ছেলে খোকন শেখ (২২) এবং কালিয়া হরিপুর চুনিয়াহাটির মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে ভাষান শেখ (৬৫)।
এদের মধ্যে ভাষান শেখ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। পরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রোকনুজ্জামান তার মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন। স্বজনরা তার মরদেহ আগেই নিয়ে যান।
অন্যদিকে, জেলা প্রশাসকের ত্রান তহবিল হতে স্ব স্ব উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে ২৫ হাজার টাকা করে প্রতিটি পরিবারকে অনুদান হিসেবে দিতে মরদেহ হস্তান্তরের সময় ঘোষণা দেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেন।
প্রসঙ্গত, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা-ঈশ্বরদী রেলপথের উল্লাপাড়ার সলপ স্টেশনের অদূরে অরক্ষিত রেলওয়ে ক্রসিং পার হতে রাজশাহী-ঢাকাগামী পদ্মা ট্রেনের ধাক্কায় বর ও কনেসহ বিয়ের ১১ যাত্রী নিহত হন।