অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, দারিদ্র্যমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ বিশ্ব গড়তে জাতিসংঘ ২০৩০ সালের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, বাংলাদেশে এর বেশিরভাগই ২০২৪ সালের মধ্যে অর্জন করা সম্ভব হবে। সে লক্ষ্যেই কাজ করছে বর্তমান সরকার।
২০২৪ সালের মধ্যে দারিদ্র্যতার কবল থেকে মুক্ত হবে বাংলাদেশ।
শনিবার বিকেলে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী উন্নয়ন সংস্থা সীমান্তিক’র ৪০ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে সিলেট নগরীর মেন্দিবাগে সীমান্তিক কমপ্লেক্স মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে গ্রাম ও শহরের মধ্যে এখন কোন পার্থক্য নেই। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগসহ সবক্ষেত্রে মানুষ সমান সুফল ভোগ করছে। দেশের ৬০ থেকে ৭০ ভাগ এলাকা এখন উন্নত। ২০২০ সালে দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। তবে ২০১৮ সালের মধ্যেই এ লক্ষ্য পূরণ করতে আমরা সক্ষম হব।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য, পরিবার ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপদেষ্টা, বিএমআরসি’র চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. সৈয়দ মুদাচ্ছের আলী। বক্তব্য রাখেন সাংসদ মাহমুদ-উস সামাদ চৌধুরী, জাতিসংঘস্থ বাংলাদেশ মিশনের সাবেক রাষ্ট্রদূত ড. একে আব্দুল মোমেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আজিজ আহমদ সেলিম, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মুর্শেদ আহমদ চৌধুরী, আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক আতিক।
অনুষ্ঠানে সীমান্তিকের চল্লিশ বছরের ইতিহাস ও কার্যক্রম তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক, রূপালী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আহমদ আল কবির। সীমান্তিকের চেয়ারপার্সন অধ্যক্ষ মাজেদ আহমেদ চঞ্চলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সিলেটের স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতের উন্নয়ন ও সম্ভাবনা বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সীমান্তিকের নির্বাহী পরিচালক ড. আহমদ আল সাবির এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন সীমান্তিকের নির্বাহী পরিচালক কাজী মোকসেদুর রহমান। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী সীমান্তিকের চল্লিশ বছরে পদার্পন স্মারক ও সীমান্তিক কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধন করেন।