প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়, ধাপে ধাপে মাধ্যমিক খুলে দেওয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী

যতই দিন যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ক্ষেত্রে বিভিন্ন মহলের চাপ বাড়ছে। শুধু অভিভাবক ও শিক্ষক নয়, শিক্ষা নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউনেস্কো এবং ইউনিসেফও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। অভিভাবক ও শিক্ষকরা বলছেন, সবকিছু চালু থাকলেও কেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আর ইউনেস্কো এবং ইউনিসেফ বলেছে, সংক্রমণ কবে শূন্যের কোঠায় নামবে, সেজন্য আর অপেক্ষায় থাকা যায় না। আর সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষাও করা যায় না।

এদিকে, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রবিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় নিয়ে আসতে পারলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসা যাবে। সে ক্ষেত্রে করোনার সংক্রমণের হার ৫ শতাংশে না নামলেও সমস্যা হবে না।

তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যেহেতু টিকার আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আগে খুলে দেওয়া হতে পারে। আর মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যখনই খোলা হবে, তখন ধাপে ধাপে খোলার চেষ্টা করা হবে।

আরও পড়ুন:

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদনের সময় বাড়লো

যদিও অভিভাবকদের বড় একটি অংশ শিশু সন্তানকে স্কুলে পাঠানোর ক্ষেত্রে ঝুঁকির বিষয়টিও বিবেচনায় আনার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন। করোনা সংক্রমণ ৫ শতাংশের নীচে না এলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না খোলার পরামর্শ কোভিড সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির। বর্তমানে করোনা সংক্রমণ ২০ শতাংশ। কিছুদিন আগেও এ হার ছিল ৩০ শতাংশ। কবে সংক্রমণ ৫ শতাংশের নীচে নামবে তা বলা যাচ্ছে না। তাহলে প্রশ্ন উঠেছে, কীভাবে খুলবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আমরা কী ততদিন অপেক্ষা করবো।

আরও পড়ুন:

ওয়েবসাইটেই আইডি কার্ডের কপি পাবে জবি শিক্ষার্থীরা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। সরকারের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, এ ছুটি আছে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। দীর্ঘ ১৭ মাস ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দেশের প্রায় ৪ কোটি শিক্ষার্থীর পড়াশোনা ভীষণ ক্ষতির মুখে পড়েছে। পরীক্ষাগুলো বাতিল বা পিছিয়ে যাচ্ছে। করোনার এমন বাস্তবতায় বিকল্প উপায়ে টিভি, রেডিও এবং অনলাইনে ক্লাস, অ্যাসাইনমেন্টসহ বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় রাখার চেষ্টা চলছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো শ্রেণিকক্ষে যেভাবে পড়াশোনা হতো, এসবের মাধ্যমে তা হচ্ছে না। আবার সবাই এসবের সুবিধাও পাচ্ছে না। শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ রোধে বিধিনিষেধ শেষে এখন প্রায় সবকিছু খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের পর এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।

শিক্ষা