মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

কিশোরগঞ্জে ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে জামিয়াতুস সুন্নাহ নামের একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত রোববার রাত সোয়া ১টায় নির্যাতিত ছাত্রের বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় এই মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার কান্দাইল গ্রামের বাসিন্দা ও জামিয়াতুস সুন্নাহ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা মুফতি হোসাইন মোহাম্মদ নাঈম (৩৩) এবং মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ বেলাল হোসেন বিল্লাল (২৫)। বিল্লাল ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার পাড়া পাঁচাশি গ্রামের মো. মজিবুর রহমানের ছেলে। জামিয়াতুস সুন্নাহ মাদ্রাসাটি জেলা শহরের নগুয়া শ্যামলী রোডের একটি তিনতলা ভবনে অবস্থিত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, মাদ্রাসাটিতে পাঁচ বছর আগে ভর্তি হয় নির্যাতিত শিশু। বর্তমানে সে হেফজ বিভাগে পড়ে। মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ বিল্লাল গত ১৫ আগস্ট সকালে মাদ্রাসার তৃতীয় তলার টয়লেটে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে শিশুটিকে বলাৎকার করেন। এরপর গত শুক্রবার সকালে শিশুটিকে টয়লেটে নিয়ে আবারও বলাৎকার করেন বিল্লাল। এ ঘটনার পরই শিশুটি বাসায় চলে যায়।

 

ওইদিন বিকেলে অধ্যক্ষ হোসাইন মোহাম্মদ নাঈম ভুক্তভোগী শিশুর বাবাকে ফোন করে শিশুটিকে মাদ্রাসায় পাঠানোর কথা বলেন। এ সময় ছেলেকে মাদ্রাসায় যেতে বললে সে হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করে। পরে বাবার কাছে সব ঘটনা খুলে বলে।

পরে ওই দিনই মাদ্রাসায় গিয়ে অধ্যক্ষের কাছে বিষয়টি জানালে অভিযুক্ত শিক্ষক বিল্লালকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে বিল্লাল অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেন। শিশুটির বাবা ও তার স্বজনেরা সেখান থেকে চলে আসার পর তারা জানতে পারেন, মাদ্রাসার অধ্যক্ষের সহায়তায় অভিযুক্ত শিক্ষক বিল্লাল মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে গেছেন। পরে পালিয়ে যাওয়ার সহায়তা করায় ওই অধ্যক্ষকেও আসামি করা হয়।

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুবকর সিদ্দিক জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।

শিক্ষা শীর্ষ সংবাদ