দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ২৮ অক্টোবর ঘিরে ছড়িয়ে পড়ছে উত্তেজনা। বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। রাজনৈতিক মাঠে বড় দুই দলের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের কারণে জনমনে এখন অজানা আশঙ্কা। চলছে নানামুখী আলোচনা ও গুঞ্জন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে। পদস্থ কর্মকর্তারা দফায় দফায় বৈঠকে বসছেন। মাঠপর্যায়ে নানা নির্দেশনা দিচ্ছেন। তারা বলছেন, জানমাল রক্ষায় যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত। এমন নানামুখী উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস গতকাল সাক্ষাৎ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে। তিনি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও হস্তক্ষেপবিহীন অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। দূতাবাসের পক্ষ থেকে রাতে এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছে বিএনপিসহ বেশকিছু রাজনৈতিক দল। ইতোমধ্যে নানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে সরব দলগুলো। এবার তারা নামতে যাচ্ছে চূড়ান্ত আন্দোলনে। এরই অংশ হিসেবে ২৮ অক্টোবর ঢাকার নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। এ সমাবেশ থেকেই সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলনে নামবে দলটি। ওইদিন ঢাকা শহরকে মিছিলের নগরীতে পরিণত করতে চায় দলটি। ঢাকায় একই দিন একই কর্মসূচি পালন করবে ক্ষমতাসীন দলও। বিএনপি নৈরাজ্য চালাতে পারে- এমন আশঙ্কায় জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে রাজপথে থাকবেন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। আন্দোলনের নামে রাজধানীতে কোনো অশান্তি সৃষ্টি করলে এর কড়া জবাব দিতে পাড়া-মহল্লার মোড়ে পাহারার পাশাপাশি গুলিস্তান এলাকায় মহাসমাবেশের পরিকল্পনা নিয়েছে দলটি। দুই দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গতকাল সাংবাদিকদের বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সচেষ্ট থাকবে, যেন ঢাকা অচল না হয়। রাস্তাঘাট সচল রাখতে পুলিশ কাজ করবে। বিস্তারিত