মারা গেলেন আরো ৪২ জন, শনাক্ত ২,৭৪৪

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আরো ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৭৪৪ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ৭৫১ জনের। আর সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছেন দুই লাখ ১৩ হাজার ২৫৪ জন।

আজ বুধবার (২২ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বুলেটিন প্রকাশে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে দেশে আরো ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁরা ৩০ জন পুরুষ এবং ১২ জন নারী। বয়স বিবেচনায় ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে আটজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ৭৫১ জনের।

এ পর্যন্ত যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁদের মধ্যে পুরুষ দুই হাজার ১৬৮ জন এবং নারী ৫৮৩ জন। আর বয়স বিবেচনায় এ পর্যন্ত যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁরা এঁদের বয়স ০ (শূন্য) থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১৮ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ৩০ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৮২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৮৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩৯০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৮১০ জন এবং ষাটোর্ধ এক হাজার ২৩৪ জন।

জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা ঢাকা বিভাগের ২১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের আটজন, রাজশাহী বিভাগের তিনজন, খুলনা বিভাগের তিনজন এবং সিলেট বিভাগের তিনজন, রংপুর বিভাগের দুইজন এবং বরিশাল বিভাগের দুইজন। হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৭ জন এবং বাসায় পাঁচজন।

বিভাগ অনুযায়ী এ পর্যন্ত যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁরা ঢাকা বিভাগের এক হাজার ৩৪১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৬৯৬ জন, রাজশাহী বিভাগের ১৫২ জন, খুলনা বিভাগের ১৮১ জন, বরিশাল বিভাগের ১০২ জন, সিলেট বিভাগের ১২৮ জন, রংপুর বিভাগের ৯৩ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ৫৮ জন।

এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৮০৫ জন। এ নিয়ে দেশের করোনা সংক্রমণ থেকে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ১৭ হাজার ২০২ জন।

ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১১ হাজার ৯৭৬টি। একই সময় পূর্বের নমুনাসহ পরীক্ষা হয়েছে ১২ হাজার ৫০টি। এর মধ্যে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে দুই হাজার ৭৪৪ জনকে। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন দুই লাখ ১৩ হাজার ২৫৪ জন।

আইসোলেশন প্রসঙ্গে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে আরো ৮২৪ জনকে। একইসময় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬৯৯ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে গেছেন ৪৪ হাজার ৫০৪ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৫ হাজার ৭৭৮ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৭৯৬ জন।

কোয়ারেন্টিন প্রসঙ্গেও তথ্য দেওয়া হয় বুলেটিনে। বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিনে গেছেন দুই হাজার ৪২৯ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে গেছেন মোট চার লাখ ১৬ হাজার ৯৩২ জন। ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৪৫২ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন তিন লাখ ৫৭ হাজার ৮৭৬ জন। ছাড়ের পর বর্তমানে হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৯ হাজার ৫৬ জন।

সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে সেবা প্রদান যায় বলে জানানো হয় বুলেটিনে।

বুলেটিনে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়ন এবং আইইডিসিআর’র হটলাইনে কল এসেছে ৯৭ হাজার ৫১৩টি। এ নিয়ে এ পর্যন্ত ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে এক কোটি ৭২ লাখ ২২ হাজার ৩৮৩টি। এসব কলে সবাইকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

টেলিমেডিসিন সেবায় প্রতিদিন ৩৫ জন চিকিৎসক এবং ১০ জন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দুই শিফটে মোট ৯০ জন টেলিমেডিসিনে করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় তাঁদের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করেছেন চার হাজার ৬৩৬ জন। এ পর্যন্ত এক লাখ ১১ হাজার ৫৩৪ জন এই সেবা গ্রহণ করেছেন বলে জানানো হয় বুলেটিনে।

জাতীয় শীর্ষ সংবাদ