আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ফেরাতে মিয়ানমারের অবস্থান আগের চেয়ে খুব একটা পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে করেন না জাতিসংঘ মহাসচিবের গণহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা আদামা দিয়েং।
আজ সচিবালয়ে আইনমন্ত্রীর সাথে আদামা দিয়েং-এর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আলোচনার সারসংক্ষেপ পরে সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আইনমন্ত্রী বলেন, মহাসচিবের বিশেষ গণহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক উপদেষ্টা বলেছেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে নিদর্শন দেখিয়েছেন তা অনুকরণীয় এবং প্রশংসনীয়। তাই বিশ্ব এখন এ সমস্যার বিষয়ে চোখ বন্ধ করে রাখতে পারবে না। জাতিসংঘ চেষ্টা করবে সব দেশ মিলে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে সমস্যার সমাধান করার। আর চাপ সৃষ্টি করার জন্য জাতিসংঘ যা কিছু করা দরকার সবই করবে। তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান আমি তাকে বলেছি। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিষয়ে আমাদের অবস্থান পরিস্কারভাবে তুলে ধরে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেছি। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় আমাদের ওপর যেসব অত্যাচার ও গণহত্যা করা হয়েছে, সেসব বিষয় তুলে ধরেছি।
আইনমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে এবং তারপর খুনিদের বাঁচাতে যে ‘ইনডেমনিটি অর্ডিনেন্স’ জারি করা হয়েছিল, তা তুলে ধরেছি। আমি মহাসচিবের গণহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টাকে বলেছি, আমরা মনে করি আইনের শাসন এবং বিশ্ব নিরাপত্তার জন্য মানবতার বিরুদ্ধে যারা অপরাধ করে তাদের বিচার হওয়া উচিত। বিচারে দোষী প্রমাণিত হলে তাদের সাজা হওয়া উচিত। ২৫ মার্চের গণহত্যার বিষয়েও তাকে অবহিত করা হয়েছে।
বৈঠকে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মোঃ জহিরুল হক উপস্থিত ছিলেন।