বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি আবারও সচল করতে খনি কর্তৃপক্ষ শুক্রবার থেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ১০০ টন করে কয়লা সরবরাহ শুরু করেছে।
আজ শনিবার সকালে বিদ্যুৎ ভবনে ‘বিদ্যুৎ খাতের প্রশিক্ষণ নীতিমালা চূড়ান্তকরণ এবং নেট মিটারিং নির্দেশিকা ২০১৮’ শীর্ষক এক কর্মশালার পর সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরি, বীরোত্তম বলেন, সরকার দেশের উত্তারাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যাবার পর সিরাজগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে বিদ্যুতের ভোল্টেজ সমস্যা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও)’র এসডিজি’র প্রধান সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ অনুষ্ঠানে বিশেষ াতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন।
আবুল কালাম আজাদ বিদ্যুৎ খাতে দক্ষ জনবল গড়ে তুলতে ব্যাপক প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে উল্লেখ করে প্রশিক্ষণ নীতিমালার খসড়ায় কিছু পয়েন্ট যোগ করার সুপারিশ করেন।
এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন সরকারবিদ্যুৎ খাতে দক্ষ জনবল তৈরিতে একটি বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন করতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১৮ হাজার মেগাওয়াটে পৌঁছেছে। এটি ২০২১ সালে ২৪ হাজার ও ২০৪১ সালে ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হবে।
এক প্রশ্নেœর জবাবে বিদ্যুৎ সচিব আহমদ কায়কাউস জানিয়েছেন, সরকার প্রয়োজনবোধে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে সরকার কয়লা আমদানি করে রাখার পরিকল্পনা করছে।
উত্তরাঞ্চলে পিক আওয়ারে এক থেকে দেড় ঘণ্টা বিভ্রাট হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি সামলে এখন স্বাভাবিক হয়ে আসছে।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কয়লার ওপর ভিত্তি করে চলছিল ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। খনি থেকে কয়লা সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গত রোববার রাতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির সবকটি ইউনিটে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উত্তরাঞ্চলে বিদ্যুৎ সঙ্কট চলছে।
এদিকে ২৩০ কোটি টাকা মূল্যের ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৪ মেট্রিক টন কয়লা উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় খনি কর্তৃপক্ষ বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ১৯ জনকে আসামি করে দুর্নীতি দমন আইনে অভিযোগ দায়ের করেছে।