পঞ্চমবারের মতো জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের (ইউএনএইচআরসি) সদস্য নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ হলে এ–সংক্রান্ত ভোটাভুটি হয়।
ভোটে জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্যদেশের মধ্যে ১৮৯টি ভোট দেয়। ভোটাভুটিতে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৬০টি ভোট পেয়ে সদস্য নির্বাচিত হয় বাংলাদেশ।
মানবাধিকার পরিষদে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শূন্য হওয়া চারটি আসনের বিপরীতে এবার বাংলাদেশসহ সাতটি দেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। তবে একটি দেশ—বাহরাইন কয়েক দিন আগে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয়। শেষ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিল বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, ভিয়েতনাম, কিরগিজস্তান, আফগানিস্তান ও দক্ষিণ কোরিয়া। বাংলাদেশ ছাড়া এ অঞ্চল থেকে নির্বাচিত হয় মালদ্বীপ (১৫৪), ভিয়েতনাম (১৪৫) ও কিরগিজস্তান (১২৬)।
জাতিসংঘের ৪৭ সদস্যের এই সংস্থায় এর আগে ২০০৬, ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল। গতকালের ভোটাভুটিতে নতুন করে ১৪টি দেশ পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে নতুন সদস্য হিসেবে নির্বাচিত দেশের তালিকায় রয়েছে আলজেরিয়া, বেলজিয়াম, চিলি, কোস্টারিকা, জর্জিয়া, জার্মানি, কিরগিজস্তান, মালদ্বীপ, মরক্কো, রোমানিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুদান ও ভিয়েতনাম। নির্বাচিত এসব দেশ ২০২৩ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে।
ভোটাভুটির সময় বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। ভোট গ্রহণ শেষে তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে এশিয়া–প্যাসিফিক গ্রুপে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বাংলাদেশ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য দেশের মধ্যে ১৮৯ দেশ ভোট দেয়। বাংলাদেশ পেয়েছে ১৬০ ভোট।’ তিনি বলেন, ‘আগেও বাংলাদেশ একাধিকবার মানবাধিকার পরিষদে সদস্য নির্বাচিত হয়েছে ও সদস্য হিসেবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে।’বাংলাদেশ মানবাধিকার পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এ ধরনের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের ফল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানবাধিকারের উন্নয়ন ও সুরক্ষায় বাংলাদেশের অব্যাহত প্রচেষ্টা এবং প্রতিশ্রুতির প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতির প্রকাশ।