আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ডলার। এর প্রভাব রয়েছে প্রায় প্রতিটি উন্নত দেশে। আমাদের দেশেও বাণিজ্যিক লেনদেনে ডলারের ব্যবহার হয়ে থাকে। তবে এর মধ্যেই বিভিন্ন দেশে এর ব্যতিক্রম ঘটে থাকে। তারা তাদের নিজস্ব মুদ্রায় লেনদেন করে থাকে। এবার বাংলাদেশেও বিকল্প লেনদেন শুরু করছে বলে জানা গেছে।
ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য রুপিতে শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। রুপিতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য শুরু হওয়ার কার্যক্রম আগামী মাস, অর্থাৎ জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে উদ্বোধন হতে পারে। তবে রুপিতে বাণিজ্য হলেও মার্কিন ডলারে বাণিজ্য হওয়ার বিষয়টি উন্মুক্ত থাকছে আগের মতোই।
কোনো মুদ্রা এড়িয়ে দুটি দেশ যখন নিজেদের মধ্যে নিজস্ব মুদ্রায় বাণিজ্য পরিচালনা করে, আর্থিক পরিভাষায় একে বলা হয় ‘কারেন্সি সোয়াপ ব্যবস্থা’। এ ব্যবস্থায় অর্থাৎ ভারতের সঙ্গে রুপিতে বাণিজ্য করতে বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংক ও ইস্টার্ণ ব্যাংককে ভারতের স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (এসবিআই) এবং আইসিআইসিআই ব্যাংকে সম্প্রতি হিসাব খোলার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ হিসাবের নাম নস্ট্র হিসাব।
ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এরই মধ্যে ইস্টার্ণ ব্যাংককে নস্ট্র হিসাব খোলার অনুমতি দিয়েছে। একই হিসাব খুলতে সোনালী ব্যাংক আরবিআইয়ের অনুমতি পেতে পারে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে। আপাতত ভস্ট্র হিসাব খোলার দিকটি বিবেচনায় থাকছে না বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্রগুলো জানায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট ৮ হাজার ৯১৬ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ১ হাজার ৩৬৯ কোটি ডলারের পণ্যই আমদানি হয় ভারত থেকে। একই অর্থবছরে বাংলাদেশ ভারতে রপ্তানি করে ১৯৯ কোটি ডলারের পণ্য। আমদানি-রপ্তানি মিলিয়ে উভয় দেশের মধ্যে ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ডলারের বাণিজ্য হয় ওই অর্থবছরে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরেও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের একই প্রবণতা রয়েছে