তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে সফরকারী আফগানিস্তানকে ১৭০ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বৃষ্টির বাগড়ায় ৪৩ ওভারে নেমে আসা ইনিংসে তাওহিদ হৃদয়ের হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ৯ উইকেটে ১৬৯ রান তুলেছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ জিততে হলে ৪৩ ওভারে আফগানিস্তানকে করতে হবে ১৭০ রান।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সপ্তম ওভারে তামিম ইকবালকে হারিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশের ইনিংস। সাবধানী শুরুর পরও আফগান পেসার ফজলহক ফারুকির বলে থার্ড ম্যান অঞ্চলে কাট করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বল তার ব্যাটের কানায় লেগে জমা হয় উইকেটকরক্ষক রহমনুল্লাহ গুরবাজের গ্লাভসে। ড্রেসিংরুমে ফেরার আগে ২১ বলে ১৩ রান করেছেন টাইগার অধিনায়ক।
দ্বাদশ ওভারের দ্বিতীয় বলে মুজিব উর রহমানের বল উড়িয়ে মারেন লিটন। তবে ব্যাটে-বলে টাইমিং ঠিকঠাক না হওয়ায় ক্যাচ উঠলে রহমত শাহ সেটি লুফে নেন। ৩৫ বলে ২ চার ও এক ছক্কায় ২৬ রান করে বিদায় নেন তিনি। কিছুক্ষণ পর নিজের প্রথম ওভার করতে আসেন মোহাম্মদ নবি। তার প্রথম বলই লেগে মারতে গিয়ে মোহাম্মদ সালিমের হাতে ক্যাচ তুলে দেন শান্ত। এর আগে তিনি খেলে যান ১৬ বলে ১২ রানের ইনিংস।
শান্তর বিদায়ের কিছুক্ষণ পর বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ থাকে। তবে বেশিক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হয়নি। বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার পর মাঠে নেমে টিকতে পারেননি সাকিব আল হাসান। ৩৫ বলে ১৪ রান করে বিদায় নেন তিনি। পরের ওভারের পঞ্চম বলে রশিদ খানের বল বুঝতেই পারেননি মুশফিক। পায়ের মাঝে দিয়ে চলে যায় স্টাম্পে। মুশফিক বিদায় নেন ১ রানেই।
দীর্ঘদিন পর দলে ফিরেছেন আফিফ হোসেন। দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের মাঝে সুযোগ পেয়েছিলেন হাল ধরারও। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না বাঁহাতি ব্যাটার। সাতে নেমে মাত্র ৪ রান করে আফগান লেগ স্পিনার রশিদ খানের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েছেন আফিফ। ব্যাট করতে নোমা মেহেদি হাসান মিরাজও বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি। ফজলহক ফারুকির এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ৫ রান করে বিদায় নেন তিনি।
শেষদিকে তাসকিন আহমেদ এসে সঙ্গ দেন লড়তে থাকা হৃদয়কে। তবে ৭ রান যোগ করতেই তিনি মুজিবের বলে এলবিডব্লিউ আউট হন। এরপর অবশ্য ফিফটির দেখা পান একপ্রান্তে লড়ে যাওয়া হৃদয়। ৬৭ বলে তিনি এই মাইলফলকের দেখা পান। তবে আর এক রান যোগ করতেই উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন। শেষে হাসান মাহমুদ ৮ ও মুস্তাফিজুর রহমান অপরাজিত থাকেন ৩ রানে।