বাজার সিন্ডিকেটের দাপট এতটাই বেড়েছে যে, অসহায় হয়ে পড়েছে দেশের সর্ব শ্রেণির মানুষ।
অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি কোনোভাবেই থামছে না। সরকার এইসব সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর না হওয়ায় অবস্থা দিনকে দিন আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। খোদ বাণিজ্যমন্ত্রীই যখন অসহায়ের মতো কথা বলেন তখন মানুষ আরও শঙ্কিত হয়ে পড়ে।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষক ও বিশিষ্টজনরা বলছেন, সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে কঠোর অবস্থা না নিলে নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি ফিরবে না। এর জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। তারা বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব যাদের তারা যদি ব্যর্থ হন তাহলে তাদের পদ থেকে সরে যাওয়া উচিত। সিন্ডিকেটের শক্তি নিশ্চয়ই সরকারের চেয়ে বেশি হতে পারে না।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, মানুষের স্বার্থে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। এক্ষেত্রে মুক্তবাজার অর্থনীতিতে প্রথম কাজ বিকল্প সরবরাহ নিশ্চিত করা। বাজার দিয়ে বাজারের মোকাবিলা করতে হবে। সরকারি প্রতিষ্ঠান টিসিবির মাধ্যমে চাল, ডাল, তেল, আটা ও চিনিসহ বেশকিছু পণ্যের সরবরাহ বাড়ানো সম্ভব। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। এতে করে ব্যবসায়ীরা যখন দেখবে বিকল্প ব্যবস্থায় মানুষ সস্তায় কিনছে, তখন তারা পণ্যের দাম কমিয়ে দেবে।
দ্বিতীয়ত, কারসাজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে যে বিধান রয়েছে তার মাধ্যমে অপরাধীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। এই দুইভাবে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। জিনিসপত্রের দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য আমদানি ও বিশ্ববাজারকে দায়ী করা হচ্ছে। কিন্তু আমি যতদূর জানি, ডিম কোনো দেশ থেকে আমদানি করা হয় না। ফলে এই পণ্যটির দাম বৃদ্ধির যুক্তি নেই। কারসাজি চিহ্নিত করে আইনের মাধ্যমে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
পণ্যের দামের কাছে মানুষ অসহায়। এর অন্যতম কারণ অসাধু সিন্ডিকেট। কিন্তু সরকারের চেয়ে সিন্ডিকেট শক্তিশালী নয়। এমনটিই মনে করেন দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান ও কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান।বিস্তারিত