জালিয়াতি করে ১৩৩ কোটি টাকা আয় ইমরানের

জালিয়াতি করে ১৩৩ কোটি টাকা আয় ইমরানের

স্টাফ রিপোর্টার

 

গরু-ছাগলের ব্যবসার আড়ালে চোরাচালান, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ১৩৩ কোটি টাকার বেশি অর্থ মানিলন্ডারিংয়ের প্রমাণ মিলেছে সাদিক এগ্রোর মালিক মো. ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে। যার ৮৬ লাখ টাকা পাচার করেছেন বিদেশে। মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় সোমবার রাজধানীর মালিবাগ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল সিআইডি’র প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান সিআইডি’র অতিরিক্ত ডিআইজি (অর্গানাইজড ক্রাইম) একরামুল হাবিব।

তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে ইমরান হোসেন সংঘবদ্ধ অপরাধচক্রের সহযোগিতায় চোরাচালান, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ১৩৩ কোটি টাকার বেশি অর্থ মানিলন্ডারিং করেছেন। এই অপরাধের ভিত্তিতে মোহাম্মদপুর থানায় তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সাদিক এগ্রো লিমিটেড প্রতারণামূলক কৌশল ব্যবহার করে থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে গুরু ও মহিষ বাংলাদেশে এনে বিক্রি করতো। ভুটান ও নেপাল থেকে ছোট আকৃতির গরু এনে বাজারজাত করা হতো। দেশীয় গরুকে বিদেশি ব্রাহমা জাতের গরু বলে প্রচার করে কোরবানির বাজারে উচ্চমূল্যে বিক্রি করতো। অতিরিক্ত ডিআইজি একরামুল হাবিব বলেন, ঢাকা কাস্টমস হাউজের আটক করা ১৫টি ব্রাহমা জাতের গরু সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী জবাই করে মাংস বিক্রির কথা ছিল। কিন্তু ইমরান হোসেন কাগজপত্রে জবাই দেখিয়ে প্রকৃতপক্ষে গরুগুলো আত্মসাৎ করেন এবং তার ফার্মে রেখে কোরবানির সময় বিক্রি করেন। ইমরান হোসেন ১১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা তার মালিকানাধীন জালালাবাদ মেটাল লিমিটেডের নামে এফডিআর খুলে বিনিয়োগ করেন। এটি মানিলন্ডারিং করা অর্থকে বৈধ করার একটি প্রচেষ্টা ছিল। এ ছাড়া মোহাম্মদপুর থানার বেড়িবাঁধ এলাকায় রামচন্দ্রপুর সরকারি খাল ভরাট ও দখল করে ইমরান হোসেন তার অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করছিলেন।

সিআইডি’র এই কর্মকর্তা বলেন, ইমরান হোসেন প্রতারণামূলক চক্রে সাদিক এগ্রো লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌহিদুল আলম জেনিথসহ একই প্রতিষ্ঠানের অজ্ঞাতনামা আরও ৫ থেকে ৭ জন ব্যক্তি জড়িত। গ্রেপ্তারকৃত ইমরান হোসেনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

জাতীয় শীর্ষ সংবাদ