নিজস্ব প্রতিবেদক
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গেটওয়ের মাধ্যমে এ অর্থ লেনদেন হবে। তবে তাঁর পরামর্শ, গ্রাহকেরা যেন ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ বা নগদের মতো মাধ্যম ব্যবহার করে কেনাকাটা করেন। তাঁরা যেন আগাম নগদ অর্থ পরিশোধ না করেন।
সম্প্রতি বেশ কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান নিয়ে বিতর্ক দেখা দেওয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলোতে লেনদেনের ক্ষেত্রে কার্ডের ব্যবহার বন্ধ করে দেয় ব্র্যাক ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়া।
কার্ডে লেনদেন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ই-ভ্যালি, আলেশা মার্ট, ই-অরেঞ্জ, ধামাকা শপিং, সিরাজগঞ্জ শপিং, আলাদিনের প্রদীপ, বুম বুম, কিউকম, আদিয়ান মার্ট ও নিডস ডটকম বিডি।
কার্ড সেবা বন্ধ রাখা দুটি ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে জানান, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংক ই-কমার্সের লেনদেন নিয়ন্ত্রণ করবে। এটা খুবই ভালো সিদ্ধান্ত। কিন্তু কবে থেকে এটা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে যাবে এবং এ-সংক্রান্ত নীতিমালা কী হবে, তা জানতে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। তত দিন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে লেনদেনের ক্ষেত্রে কার্ডের ব্যবহার বন্ধ থাকতে পারে।’
ই-ভ্যালি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তারা বিপুল ছাড় দিয়ে লোকসানে পণ্য বিক্রি করছে। যে কারণে দেশের ই-কমার্স ব্যবসায় অসুস্থ প্রতিযোগিতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে ভালো ও সৎ ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এবং ভবিষ্যতে এ খাতের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হবে।