স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ফৌজিয়া খানের নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটি গত ২৬ অক্টোবর মন্ত্রণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সিআইডির এসআই আকসাদুদ জামানকে মালিবাগ থেকে উঠিয়ে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে নির্যাতন এবং জোরপূর্বক মুক্তিপণ বাবদ ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা আদায় করার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ডিবির সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে তদন্ত কমিটি।
তবে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার চার মাস পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (প্রশাসন ও পরিচালন) কামরুল আহসান ২ মার্চ প্রথম আলোকে বলেন, অপরাধের ধরন অনুযায়ী কায়সার রিজভীসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এডিসি কায়সার রিজভী কোরায়েশি ছাড়া অভিযুক্ত অন্যরা হলেন ডিবির পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান, এসআই মাসুদুল ইসলাম, এএসআই প্রকাশ চন্দ্র গুহ ও জুলহাস এবং কনস্টেবল মাসুদ রানা। তাঁদের কারও বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কায়সার রিজভীকে সম্প্রতি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদর দপ্তরে বদলি করা হয়েছে। তবে তিনি এখনো ডিবিতে কর্মরত আছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনা সম্পর্কে বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করলে এডিসি কায়সার রিজভী কোরায়েশি এ নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি বিস্তারিত