এখনও ধংসস্তূপ হাতড়ে বেড়াচ্ছেন উদ্ধার কর্মীরা, যদি একটিও প্রাণ বাঁচানো যায়! কিন্তু তীব্র ঠাণ্ডার কারণে সে আশা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে পড়ছে। মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে।
তুরস্ক ও সিরিয়ার স্থানীয় উদ্ধার কর্মীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন পৃথিবীর নানা দেশ থেকে আসা উদ্ধার ও ত্রাণ কর্মীরা। দুই দেশের কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, উদ্ধারকাজ শেষ হতে হতে মৃতের সংখ্যা বর্তমানের দ্বিগুণও হয়ে যেতে পারে। কেবল তুরস্কেই মৃতের সংখ্যা সাড়ে আট হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।
এখনও ধংসস্তূপ হাতড়ে বেড়াচ্ছেন উদ্ধার কর্মীরা, যদি একটিও প্রাণ বাঁচানো যায়!
উদ্ধার কর্মীদের সংগঠন হোয়াইট হেলমেট জানিয়েছে, সিরিয়ার বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকায় দেড় হাজারের বেশি মরদেহ উদ্ধার হয়েছে, আহত হয়েছেন আড়াই হাজারের বেশি মানুষ। কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছে, এখনো বিপুল পরিমাণ ধংসস্তুপ সরানো সম্ভব হয়নি।
ফলে এর নীচে মানুষ চাপা পড়ে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। যত সময় যাচ্ছে, কাউকে জীবিত উদ্ধার করতে পারার সম্ভাবনাও ফুরিয়ে আসছে। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় ভোর রাতে প্রথমে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার এবং পরে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে।
উদ্ধার কর্মীদের সংগঠন হোয়াইট হেলমেট জানিয়েছে, সিরিয়ার বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকায় দেড় হাজারের বেশি মরদেহ উদ্ধার হয়েছে, আহত হয়েছেন আড়াই হাজারের বেশি মানুষ।
উদ্ধার কর্মীদের সংগঠন হোয়াইট হেলমেট জানিয়েছে, সিরিয়ার বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকায় দেড় হাজারের বেশি মরদেহ উদ্ধার হয়েছে, আহত হয়েছেন আড়াই হাজারের বেশি মানুষ।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চল। এখানেই সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসা লাখ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। সিরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, ভূমিকম্পের ফলে অন্তত তিন লাখ মানুষ তাদের ঘর-বাড়ি হারিয়েছেন।
রাষ্ট্রীয় সংবাদসংস্থা সানা জানিয়েছে, বাস্তুচ্যূতদের আশ্রয় দিতে দেশজুড়ে ১৮০টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। তবে এ পরিসংখ্যান কেবল সরকার নিয়ন্ত্রিত অংশের জন্যই প্রযোজ্য৷ বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের হিসাব দামেস্কের সরকারের কাছে নেই।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চল।
এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে জরুরি সহায়তা চেয়ে আনুষ্ঠানিক আবেদন করেছে সিরিয়া সরকার। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জোটের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিশনার ইয়ানেৎস লেনারকিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ সকালে বেসরকারি নাগরিকদের সুরক্ষায় সিরিয়া সরকারের কাছ থেকে সহায়তার আবেদন পেয়েছি আমরা।’
তিনি জানান, জোটের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে এই আহ্বানে সাড়া দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। তবে একই সঙ্গে এই সহায়তা যাতে দামেস্ক সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে না যায়, সেটি নিশ্চিতেরও আহ্বান জানানো হয়েছে। ২০১১ সালে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধের পর থেকে সিরিয়ার ওপর নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে জরুরি সহায়তা চেয়ে আনুষ্ঠানিক আবেদন করেছে সিরিয়া সরকার।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে জরুরি সহায়তা চেয়ে আনুষ্ঠানিক আবেদন করেছে সিরিয়া সরকার।
সিরিয়ার বিদ্রোহী অধ্যুষিত অঞ্চলে উদ্ধারকাজ চালানো সংগঠন হোয়াইট হেলমেটও আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে। গৃহযুদ্ধ চলাকালে দেশটির বেসামরিক জনগণকে রক্ষায় গড়ে ওঠে এই সংগঠন।