রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং ট্রাফিক শৃঙ্খলা আনতে ঢাকা মহানগর পুলিশ–ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ কাল মঙ্গলবার থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ট্রাফিক শৃঙ্খলা কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
এ সময় জনসাধারণকে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করা হবে।
আজ সোমবার সকালে ডিএমপি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
ডিএমপি জানায়, ট্রাফিক শৃঙ্খলা সপ্তাহ ও ট্রাফিক সচেতনতা মাস পালনের মাধ্যমে ট্রাফিক আইনের কঠোর বাস্তবায়ন ও সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে ঢাকা শহরের ট্রাফিক শৃঙ্খলার উন্নতি হচ্ছে। ট্রাফিক আইন না মানার সংস্কৃতি এবং ট্রাফিক আইন বাস্তবায়নে অপর্যাপ্ত ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সুবিধা ও বিভিন্ন সমস্যার কারণে দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত সমস্যা রাতারাতি সমাধান সম্ভব না । তবে ট্রাফিক আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং জনসচেতনতার ফলে ঢাকা শহরে ট্রাফিক শৃঙ্খলার উন্নতি এখন বেশ চোখে পড়ছে। এরই ধারাবাহিকতায় কাল থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ট্রাফিক শৃঙ্খলা কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
ট্রাফিক শৃঙ্খলার উন্নয়নে যেসব কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে:
১। ট্রাফিক সচেতনতামূলক লিফলেট, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, গাইড বই বিতরণ।
২। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার সম্মানিত সদস্যবৃন্দকে নিয়ে ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারসেকশনসমূহে ট্রাফিক সচেতনতামূলক কার্যক্রম অনুষ্ঠানের আয়োজন।
৩। রোভার স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট, গার্ল গাইড, বিএনসিসি সদস্যদের ট্রাফিক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা।
৪। ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তর ও দক্ষিণের সঙ্গে সমন্বয় করে অবশিষ্ট জেব্রা ক্রসিং/রোড মার্কিংগুলো দৃশ্যমান/স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৫। মূল সড়কের পাশে অবস্থিত স্কুল কলেজের ক্লাস শুরু এবং ছুটির সময়ে উক্ত এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ ও স্কুল কলেজের ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা এবং এসব অঞ্চলে যথাযথ ট্রাফিক সাইন স্থাপন করা।
৬। হাইড্রোলিক হর্ন, দ্রুতগতির যানবাহন, বেপরোয়া গতি, হুটার, বিকন লাইট, উল্টো পথে চলাচল এবং মোটরসাইকেলের আরোহীদের হেলমেট পোসহ সকল প্রকার ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে পরিচালিত বিশেষ ট্রাফিক অভিযান এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা।
৭। ঢাকা মহানগরী এলাকার গুরুত্বপূর্ণ ২৯ টি পয়েন্টে চেকপোস্ট কার্যক্রম অব্যাহত রাখা।
৮। ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ৩০ টি ফুটওভারব্রিজ ব্যবহারে পথচারীদের উদ্বুদ্ধকরণে পুলিশ সদস্য মোতায়েন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা।
৯। গাড়ি চালানোর সময় স্টপেজ ব্যতীত সকল সময় গাড়ির দরজা বন্ধ রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ।
১০। জেব্রা ক্রসিং এর আগে Stop লাইন বরাবর গাড়ি থামানো এবং স্টপেজ ছাড়া যত্রতত্র গাড়ি থামানোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বাম লেন ঘেঁষে নির্ধারিত স্টপেজে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা নিশ্চিত করা।
১১। ভিডিও মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি করা।
১২। এর আগে মডেল করিডর হিসেবে ঘোষিত বিমান বন্দর থেকে শহীদ জাহাঙ্গীর গেট, ফার্মগেট, সোনারগাঁও, শাহবাগ, মৎস্য ভবন, কদম ফোয়ারা, পুরোনো হাইকোর্ট হয়ে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ভিআইপি সড়কের ইন্টারসেকশন সমূহে রিমোট কন্ট্রোল সরবরাহ নিশ্চিত করে স্বয়ংক্রিয় ও রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে সিগন্যাল পরিচালনা করা।
১৩। ফার্মগেট থেকে সাতরাস্তা পর্যন্ত রাস্তাটিকে গাড়ি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রাখা।