ঢাকার উত্তরার ১৮ নম্বর সেক্টরের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য ওয়াটার রিটেনশন পন্ডের (পানি ধারণ এলাকা) ৪০ একর জায়গা ভরাট কার্যক্রমের ওপর ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ রোববার রুলসহ এ আদেশ দেন।
ওই জলাশয় ভরাট করা কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। ভূমি সচিব, পরিবেশ সচিব, গৃহায়ণ সচিব, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাজউক চেয়ারম্যান ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ ১৩ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতিসহ (বেলা) পাঁচটি সংগঠন গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ওই রিট করে। রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মিনহাজুল হক চৌধুরী ও সাঈদ আহমেদ কবীর।
রিট আবেদনকারী পক্ষ জানায়, ঢাকার উত্তরার ১৮ নম্বর সেক্টরের দক্ষিণ পাশে দ্বিগুণ, বাউনিয়া ও বড়কাকর মৌজায় অবস্থিত মাস্টারপ্ল্যানে চিহ্নিত ৬১৫ দশমিক ৮১ একর পানি ধারণ এলাকা (ওয়াটার রিটেনশন পণ্ড)। উত্তরা ও মিরপুর এলাকার জলাবদ্ধতা কমাতে সরকার দ্বিগুণ, বাউনিয়া ও বড়কাকর মৌজায় ৬১৫ দশমিক ৮১ একর জমি অধিগ্রহণ করে এবং তা পানি ধারণ এলাকা হিসেবে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে হস্তান্তর করে। তবে ২০১৪ সালে মুখ্য সচিবের নেতৃত্ব একটি আন্তমন্ত্রণালয় কমিটি ওই পানি ধারণ এলাকা থেকে ৪০ একর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়েই রিট করা হয়। রিট আবেদনকারী অপর চারটি সংগঠন হচ্ছে অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স ও নিজেরা করি।